আইসিটিনোহাম

শিরোনাম

Post Top Ad

Post Top Ad

ইটাপোতা কলোনী জামে মসজিদ কম্প্লেক্স এন্ড তা’লিমুল কোরআন নুরানী ও হাফিজিয়া মাদ্রাসা- এখানে শিশু হইতে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি চলিতেছে, হিফয বিভাগে শুধুমাত্র ছাত্র ভর্তি চলিতেছে। যোগাযোগে-মুহতামিম অত্র মাদ্রাসা

পরিচিতি

পরিচিতি

মাদ্রাসার ফটক

প্রতিষ্ঠানের নাম:
ইটাপোতা কলোনী জামে মসজিদ কম্প্লেক্স এন্ড তা’লিমুল কোরআন
নুরানী ও হাফিজিয়া মাদ্রাসা

    গ্রাম : ইটাপোতা
    ইউনিয়ন : মোগলহাট
    ডাকঘর : মোগলহাট, 5501
    উপজেলা/থানা : লালমনিরহাট
    জেলা : লালমনিরহাট
    বাংলাদেশ।

নোটিশ বোর্ড

শ্রেণি সমূহ

1. নুরানী শাখা

    ক. শিশু শ্রেণি
    খ. প্রথম শ্রেণি
    গ. দ্বিতীয় শ্রেণি
    ঘ. তৃতীয় শ্রেণি
    ঙ. চতুর্থ শ্রেণি
2. হিফজ শাখা
    ক. নাজেরা
    খ. হিফজ

বয়স ক্যালকুলেটর

5:31 AM 0

 

JavaScript Age Calculator

বয়স ক্যালকুলেটর

তারিখ

মাস

জন্ম সাল

Read More

বার্ষিক পরিক্ষার ফলাফল-২০২৩

3:16 AM 0

 

২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ইং রোজ বৃহস্পতি বার বেলা  ১১:০০ ঘটিকায় বার্ষিক পরিক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়। নিম্নে শ্রেণি অনুযায়ী ফলাফল  দেওয়া হলোঃ







Read More

2023 সালের বার্ষিক পরিক্ষার ফলাফল

8:59 PM 0

 


28 ডিসেম্বর 2023ইং রোজ বৃহস্পতি বার বেলা 11:00 ঘটিকায় বার্ষিক পরিক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়। নিম্নে শ্রেণি অনুযায়ী ফলাফল (পিডিএফ) দেওয়া হলোঃ


প্লে শ্রেণি


নার্সারী শ্রেণি


প্রথম শ্রেণি


দ্বিতীয় শ্রেণি


চতুর্থ শ্রেণি


হিফজ

Read More

মাদ্রাসা চালু হলো আবার

10:29 PM 0


 


আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে আবার মাদ্রাসা চালু করছি

Read More

ইসলাম ও ভাষা দিবস (নাটিকা)

1:35 AM 0

 


ফুল দিতে যাচ্ছিলাম। শহীদ মিনারে পথ আগলে দাঁড়ালো বরকত, রফিক, সালাম, জব্বার, শফিউর

 

 রফিকঃ           কই যাও?

আমিঃ              জি, শহীদ মিনারে যাচ্ছি ফুল দিতে।

সালামঃ           ফুল দিয়ে কি হবে?

 আমিঃ             না, মানে আপনাদের স্মরণ করা জন্য, যাতে আপনাদের আত্মা শান্তি পায়।

বরকতঃ           হা হা হা, কুরআন হাদিসের কোথাও লেখা আছে,  ফুল দিলে আত্মার শান্তি হয়?

কখনো কি কবর জিয়ারত করেছো? দুই রাকাত নামাজ পড়ে, আমাদের জন্য দোয়া করেছো??

 আমিঃ             জিনা, মানে

রফিকঃ            হুমম,  প্রতি বছর কত টাকার ফুল দিয়ে  এভাবে শ্রদ্ধা জানাও?

আমিঃ              জি, কোটি টাকার উপরে।

শফিউরঃ         আচ্ছা আমার মা যে চিকিৎসার অভাবে মারা গেছে, কেউ কি খোঁজ নিয়েছে?

সালামঃ           আমার আত্মীয় স্বজনরা যে রিকশা চালিয়ে, দিনমজুরি করে জীবিকা নির্বাহ করে,

তার কি কোন খবর রাখে কেউ?

আমিঃ              ভাই, আসলে জীবন তো দিছেন আপনারা। আপনাদের আত্মীয় স্বজন তো দেয় নাই। তাদের খোঁজ কেন নিব?

বরকতঃ           যুদ্ধ তো করছে মুক্তিযোদ্ধারা। তাদের নাতি পুতিরা এত  সুযোগ সুবিধা পায় কেন?

শফিউরঃ         বাদ দাও তো বরকত ! ওদেরকে বেশি উস্কে দিয়ো না। বেশি উস্কালে হয়ত,  নতুন প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধার মত, নতুন প্রজন্মের ভাষা সৈনিক নামেও তারা আরেকটা পার্টি বানাবে।

মনটা খারাপ হয়ে গেল।  বাসায় ফিরে আসলাম। আর কোনদিন ফুল দিতে যাবো না।

(গল্পটি রূপক কিন্তু এটাই ইসলামের শিক্ষা, রাসূলের আদর্শ )

হে আল্লাহ !  আমার জানা অবস্থায় তোমার সাথে শিরক করা হতে,, তোমার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি।

আর অজানা অবস্থায় শিরক হয়ে গেলে আল্লাহ্ আপনি আমাদের ক্ষমা করে দাও।

Read More

নাস্তিক ও ইসলাম বিদ্বেষীরা কিভাবে মানুষকে ধোকায় ফেলে- ৩

3:49 PM 0

নারী অধিকার সম্পর্কিত সকল আপত্তির জবাব: সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া আজহারী


আমরা ইন শা আল্লাহ ইসলামে নারীর অধিকার রিলেটেড সকল প্রশ্নের জবাব এক এক করে দেব। নাস্তিক ও ইসলাম বিদ্বেষীরা এই সংক্রান্ত যত আপত্তি করে সকল আপত্তির জবাব আমরা দেব ইন শা আল্লাহ। কিন্তু তার আগে ইসলামের আগমনের পূর্বে নারীদের কি অবস্থা ছিল এবং ইসলাম তাদেরকে কোথায় স্থান দিয়েছে সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা প্রয়োজন। ইসলামের আগমনের পূর্বে জাহেলিয়াত যুগে নারীর অবস্থান কী ছিল তা না বুঝলে আমরা ইসলামের প্রতি কোন অবস্থাতেই সুবিচার করতে পারব না।
প্রথমেই জোর দাবির সাথে বলতে চাই,
"হুকুকুল মারয়াহ" বা নারী অধিকার বা ইংরেজীতে women rights নামক শব্দটাই ইসলামের আবিষ্কার, কুরআন সুন্নাহ নিঃসৃত একটা টার্মিনলজি। ইসলামের আগমনের পূর্বে পৃথিবী এই শব্দের সাথে পরিচিত ছিল না।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা বলেন,
وَلَهُنَّ مِثْلُ الَّذِي عَلَيْهِنَّ بِالْمَعْرُوفِ ۚ
আর পুরুষদের যেমন স্ত্রীদের উপর অধিকার রয়েছে, তেমনি ভাবে স্ত্রীদেরও অধিকার রয়েছে পুরুষদের উপর নিয়ম অনুযায়ী (সূরাতুল বাকারা, আয়াত নং- ২২৮)
কাজেই "নারী অধিকার" নিয়ে কথা বলার অধিকার সবচাইতে বেশি ইসলামেরই রয়েছে, মুসলমানদেরই রয়েছে। ইসলাম পূর্ববর্তী যুগে নারীদেরকে মানুষ হিসেবেই বিবেচনা করা হত না।
ইসলাম এসে নারীকে মানুষের মর্যাদা দেয়। এর আগে মা হিসেবে নারী ছিল চরম অবহেলিত, স্ত্রী হিসেবে চরম অবহেলিত, বোন হিসেবে অবহেলিত, কন্যা হিসেবে চরম অবহেলিত।
ইসলাম এসে ঘোষণা করে, "মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের জান্নাত।" বাবার পায়ের নিচে সন্তানের জান্নাত বলা হয়নি। মায়েরা কিসের জাত? নারী।
মেয়েকে সম্পত্তিতে অধিকার দেয়া হল। জাহেলিয়াত যুগে এবং পূর্ববর্তী ধর্মগুলোতে ও গ্রীক, রোমান সকল সভ্যতায় মেয়েদের সম্পত্তিতে কোন অধিকার ছিল না। ছেলে সন্তানের অর্ধেক একজন মেয়ে পাবে, কিন্তু মেয়ের কোন আর্থিক দায়িত্ব নেই৷ সে যা পায় তা পুরোটাই তার। এই বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা করব ইন শা আল্লাহ।
সহিহ হাদিসে মায়ের হক সন্তানের উপর বাবার চাইতে তিন গুণ বেশি বলে ঘোষণা করে দেয়া হল৷ নারী ছিল জাহেলিয়াত যুগে ভোগের পণ্য। জুয়াতেও স্ত্রী মেয়েকে ধরে দিত জাহেলি যুগের মানুষেরা।
মেয়েদেরকে সঠিক শিক্ষা দীক্ষা দিয়ে বড় করে সৎ পাত্রস্থ করতে পারলে সেই বাবার জন্য জান্নাতের গ্যারান্টি দেয়া হল।
এই সেদিন পাশ্চাত্য সভ্যতা নারীদের ভোটের অধিকার দিয়েছে। অথচ হজরত ওসমান রা. খলিফা হবেন নাকি মাওলা আলি খলিফা হবেন এই ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নারীদের ভোট নেন হজরত আব্দুর রহমান ইবনে আউফ রা.।
হজরত ওমর রা. যখন মেয়েদের মোহরানার সর্বোচ্চ পরিমাণ নির্ধারণ করতে চাইলেন, তখন একজন নারী ওঠে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করেন। বলেন, হে আমিরুল মুমিনিন! এই অধিকার আপনার নাই। আল্লাহ পাক কুরআন মাজিদে বলেছেন কোন স্বামী যদি তার স্ত্রীকে কিনতার বা পাহাড় পরিমাণ সম্পদ দিয়ে দেয় মোহরানা হিসেবে দিতে পারে।
হজরত ওমর রা. এতটুকু রাগ করেন নি। উল্টো বলেছেন, "আসাবাত আল মারয়াহ ওয়া আখতায়া উমর"
মহিলাটি সঠিক, ওমর ভুল করেছে।
হজরত ওমর ফারুক রা. এঁর খেলাফাতকালে একজন নারীকে বাজার নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দেয়া হয়। আমরা এই যুগে এসে প্রশ্ন তুলছি মেয়েরা চাকরি করতে পারবে কীনা তা নিয়ে। আর ইসলাম ১৪০০ বছর আগেই মেয়েদেরকে পরিপূর্ণ পর্দার মধ্যে থেকে চাকরি করার অধিকার দিয়ে গেছে। আম্মাজান আয়েশা সিদ্দিকা রা. এর কাছে শত শত সাহাবা ও তাবিইন আসতেন শিক্ষাগ্রহণ করার জন্য। পর্দার অন্তরালে থেকে সবাইকে দ্বীন শিক্ষা দিয়েছেন আম্মাজান আয়েশা সিদ্দিকা রা. । ইমাম শাফিইর মত বড় ইমাম নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামার আহলে বায়তের নয়নমমি সায়্যিদাহ নাফিসা রাহ., যাকে নাফিসাতুল ইলম, বলা হত তাঁর কাছে শিক্ষাগ্রহণ করেছেন।
হুজুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্ত্রীগণের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ করতেন। বিশেষ করে আম্মাজান খাদিজাতুল কুবরা রা. এঁর পরামর্শকে খুব বেশি মূল্যায়ন করতেন। উম্মে সালামাহ রা. এঁর পরামর্শ গ্রহণ করেন হুদায়বিয়ার সন্ধির সময়।
এগুলো এত মশহুর বিষয় যা কোন রেফারেন্সের মুখাপেক্ষী নয়৷ কোন নাস্তিকও অস্বীকার করতে পারবে না এগুলো। এর চাইতে বেশি নারী অধিকার কী চান?
ইসলাম নারীকে বিবসনা করে অবমাননার অনুমতি দেয় না। ইসলাম নারীকে সম্ভ্রমহানীর রাস্তায় যাওয়ার অমুমতি দেয় না। এগুলো নারী অধিকার নয়। এগুলো নারীর অবমাননা।
এখন আসুন আমরা একটু দেখে নিই ইসলাম পূর্ব যুগে নারীর অবস্থান কী ছিল :
ইসলাম পূর্ব যুগে নারী ছিল সবচেয়ে অবহেলিত, লাঞ্চিত, বঞ্চিত, নির্যাতিত এবং অধিকার হারা জাতি। সে সময় নারীকে ভোগ-বিলাসের উপকরণ এবং বাজারের পণ্য হিসাবে গণ্য করা হ’ত। সৎ ছেলে তার পিতার মৃত্যুর পর সৎমাকে বিয়ে করতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করত। সেই সময়ে নারীদেরকে মানুষ হিসাবে যথাযোগ্য মর্যাদা দেয়া হ’ত না এবং তাদের কোন সামাজিক অধিকার স্বীকৃত ছিল না। এমনকি মানব জাতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসাবে সমাজে বেঁচে থাকার অধিকারটুকুও ছিল না। তাদের প্রতি খুবই কঠোর আচরণ করা হ’ত। সে যুগে নারীদেরকে মনে করা হ’ত দাসী এবং ভারবাহী পশু হিসাবে। যাদেরকে ক্রয়-বিক্রয় করা হ’ত। সে আমলে স্বামী যত খুশি স্ত্রী গ্রহণ করত এবং ইচ্ছা করলে তার স্ত্রীকে অপরের কাছে বিক্রি করে দিতে পারত কিংবা স্ত্রীকে দিয়েই কেউ ঋণ পরিশোধ করত। আবার কেউ উপহার হিসাবে কাউকে এমনিই দিয়ে দিত। তারা কন্যা সন্তান জন্মকে লজ্জাজনক মনে করে স্বীয় নিষ্পাপ কন্যা সন্তানকে জীবন্ত কবর দিতেও কুণ্ঠিত হ’ত না। তাদের এমন বিবেক বর্জিত কর্ম সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন, وَإِذَا الْمَوْؤُوْدَةُ سُئِلَتْ، بِأَيِّ ذَنْبٍ قُتِلَتْ، ‘আর যখন জীবন্ত সমাধিস্থ কন্যাকে জিজ্ঞেস করা হবে, কি অপরাধে তাকে হত্যা করা হয়েছিল’? (তাকভীর ৮-৯)।
সেযুগে তারা পিতা-মাতা বা স্বামীর মৃত্যুর পর পরিত্যক্ত সম্পত্তি থেকেও বঞ্চিত হ’ত। পিতৃহীনা সুন্দরী-ধনবতী বালিকার অভিভাবক যথাযথ মোহর দানে তাকে বিবাহ করতে সম্মত হ’ত না। আবার অন্যত্র বিবাহ দিতেও অসম্মতি প্রকাশ করত। সুন্দরী বাঁদী দ্বারা দেহ ব্যবসা করিয়ে অর্থ উপার্জন করা হ’ত। এ গর্হিত কাজ হ’তে বিরত রাখার উদ্দেশ্যে আল্লাহ তা‘আলা এ আয়াত অবতীর্ণ করেন, وَلاَ تُكْرِهُوْا فَتَيَاتِكُمْ عَلَى الْبِغَاءِ إِنْ أَرَدْنَ تَحَصُّناً لِّتَبْتَغُوْا عَرَضَ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا، ‘আর তোমরা দুনিয়ার ধন-সম্পদ লাভের উদ্দেশ্যে তোমাদের যুবতী দাসীদেরকে ব্যভিচারে লিপ্ত হ’তে বাধ্য করবে না। যখন তারা পাপমুক্ত থাকতে চায়’ (নূর ৩৩)। উল্লিখিত যুগে একের অধিক নারী বিবাহ করে তাদের ন্যায্য পাওনা হ’তে বঞ্চিত করা হ’ত। তাদেরকে তালাক দিয়ে অন্যত্র স্বামী গ্রহণের অবকাশও দেওয়া হ’ত না। এ জাতীয় অমানবিক ও অমানুষিক যুলুম অত্যাচার নারী জাতির উপর করা হ’ত।
বিভিন্ন ধর্ম ও সভ্যতায় নারীদের অবস্থান নিম্নে তুলে ধরা হ’ল-
হিন্দু ধর্মে : নারীদেরকে বলী দেওয়া হ’ত এবং এ ধর্মে সতীদাহ প্রথা প্রচলিত ছিল। এছাড়াও এ ধর্মে নারীরা পিতার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত। হিন্দু ধর্মে নারীদের অতীব হীন ও নীচু স্তরের প্রাণী মনে করা হ’ত। এ দিকে ইঙ্গিত করেই Professor India গ্রন্থে বলা হয়েছে, ‘নারীর ন্যায় এত পাপ-পঙ্কিলতাময় প্রাণী জগতে আর নেই। নারী প্রজ্জ্বলিত অগ্নি স্বরূপ। সে ক্ষুরের ধারালো দিক। এই সমস্তই তার দেহে সন্নিবিষ্ট’। নারীদের প্রতি ঘৃণাভরে বলা হয়েছে, ‘নারীদেরকে ভালবাসা পুরুষদের উচিৎ নয়’।
বৌদ্ধ ধর্মে : বৌদ্ধ ধর্মে নারীকে সকল পাপের জন্য দায়ী করা হ’ত। এ সম্পর্কে ঐতিহাসিক ওয়েষ্টমার্ক বলেন, ‘মানুষের জন্য প্রলোভনের যতগুলি ফাঁদ বিস্তার করে রেখেছে, তন্মধ্যে নারীই সর্বাপেক্ষা বিপজ্জনক। নারীর মধ্যে সকল মোহিনী শক্তি অঙ্গীভূত হয়ে আছে, যা সমস্ত বিশ্বের মনকে অন্ধ করে দেয়’।
ইহুদী ধর্মে : এ ধর্মে নারীর প্রকৃতি সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘সতী নারীর চেয়ে পাপিষ্ট পুরুষও শতগুণে ভাল’। তারা নারীকে যাবতীয় পাপ ও মন্দের মূল কারণ হিসাবে গণ্য করেছে।
খৃষ্টান ধর্মে : খৃষ্টধর্ম মতে নারীরাই নরকের প্রবেশ দ্বার। সপ্তদশ শতাব্দীতে ‘কাউন্সিল অব দ্যা ওয়াইজ’-এর অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় 'Woman has no soul' ‘নারীর কোন আত্মা নেই’।
চীন সভ্যতায় : চীন দেশের নারীদের অবস্থার বিবরণ দিতে গিয়ে জনৈকা চীনা নারী বলেন, ‘মানব সমাজে নারীদের স্থান সর্বনিম্নে। অদৃষ্টের কি নির্মম পরিহাস! নারী সর্বাপেক্ষা হতভাগ্য প্রাণী। জগতে নারীর মত নিকৃষ্ট আর কিছু নেই’।
গ্রীক সভ্যতায় : বিশ্বখ্যাত গ্রীক দার্শনিক সক্রেটিস বলেন, 'Woman is the greatest source of chaos and disruption in the world' ‘নারী জগতে বিশৃংখল ও ভাঙ্গনের সর্বশ্রেষ্ঠ উৎস’।
রোম সভ্যতায় : রোম সভ্যতায় পরিবারের নেতা ও পরিচালক পিতা বা স্বামী নিজের স্ত্রী ও সন্তানদের উপর নিরঙ্কুশ ক্ষমতার অধিকারী ছিল। তারা যখন ইচ্ছে তখনই নারীকে ঘর থেকে বহিষ্কার করে দিত।
পশ্চীমা বিশ্ব এই মাত্র সেদিন নারীদেরকে সম্পত্তিতে অধিকার দিয়েছে। এহেন অবস্থা থেকে তুলে এনে ইসলাম নারীকে কত উচ্চস্থানে আসীন করেছে প্রিয় পাঠক এখন আপনারাই বিবেচনা করুন। আর আজ সেই ইসলামের দিকেই আংগুল তুলে এই অবিবেচক নাস্তিক ও ইসলাম বিদ্বেষীরা।
যাইহোক, আমরা পরবর্তী পর্বে ইন শা আল্লাহ, আলোচনা করব কুরআনে নারীর গায়ে হাত তোলা সংক্রান্ত ভুল বুঝাবুঝির অপনোদন নিয়ে।
Read More