কাযা নামায কিভাবে আদায় করতে হয়? - আইসিটিনোহাম

শিরোনাম

Post Top Ad

ইটাপোতা কলোনী জামে মসজিদ কম্প্লেক্স এন্ড তা’লিমুল কোরআন নুরানী ও হাফিজিয়া মাদ্রাসা- এখানে শিশু হইতে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি চলিতেছে, হিফয বিভাগে শুধুমাত্র ছাত্র ভর্তি চলিতেছে। যোগাযোগে-মুহতামিম অত্র মাদ্রাসা

পরিচিতি

পরিচিতি

মাদ্রাসার ফটক

প্রতিষ্ঠানের নাম:
ইটাপোতা কলোনী জামে মসজিদ কম্প্লেক্স এন্ড তা’লিমুল কোরআন
নুরানী ও হাফিজিয়া মাদ্রাসা

    গ্রাম : ইটাপোতা
    ইউনিয়ন : মোগলহাট
    ডাকঘর : মোগলহাট, 5501
    উপজেলা/থানা : লালমনিরহাট
    জেলা : লালমনিরহাট
    বাংলাদেশ।

নোটিশ বোর্ড

শ্রেণি সমূহ

1. নুরানী শাখা

    ক. শিশু শ্রেণি
    খ. প্রথম শ্রেণি
    গ. দ্বিতীয় শ্রেণি
    ঘ. তৃতীয় শ্রেণি
    ঙ. চতুর্থ শ্রেণি
2. হিফজ শাখা
    ক. নাজেরা
    খ. হিফজ

কাযা নামায কিভাবে আদায় করতে হয়?













































প্রশ্ন:
১. ঘুম থেকে উঠে যদি দেখি যে, সূর্য উঠে গেছে। তাহলে ফজরের কাজা কিভাবে পড়তে হবে? সূর্য উঠার পর ১৫/২০ মিনিট পর নাকি সূর্য যে অবস্থায় থাকে সাথে সাথেই ফজরের কাজা আদায় করে নিতে হবে?

২. ঘুম থেকে উঠে যদি দেখে যে, সূর্য উঠে গেছে, তাহলে সকালে যদি ফজরের কাজাটা না পড়ে জোহরের নামাজের সাথে একসাথে পড়ে নেয় তাহলে কি তা জায়েজ হবে?
৩. কাজা নামায কি সিরিয়াল অনুযায়ী পড়তে হয়? যেমন: ফজর আর জোহর যদি কাজা হয়, তাহলে যখন আসরের নামাজ পড়ব তখন আসরের নামাযের পূর্বে কি ফজর অত:পর যোহরের নামাযটা আদায় করে নিতে হবে? আর তা না করে যদি এশার সময় ঐ কাজাগুলো একসাথে পড়ে নেই তাহলে কি হবে?
উত্তর:
■ ১) ঘুম থেকে জাগার পর পবিত্র হয়ে অনতিবিলম্বে ফজরের নামায আদায় করে নিতে হবে সূর্য যে অবস্থায় থাকুক না কেন। সূর্য উঠার ১৫/২০ বিলম্ব করবে না।
কেননা, সূর্য উদিত হওয়া শুরু হওয়ার পর প্রায় ১৫/২০ মিনিট পর্যন্ত এই নিষিদ্ধ সময়ে কেবল সাধারণ নফল নামায আদায় করা নিষেধ। ফরয নামায কাযা করা দোষণীয় নয়।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘুম বা ভুলে যাওয়ার কারণে নামায কাযা হয়ে গেলে ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার বা স্মরণ হওয়ার সাথে সাথে অনতিবিলম্বে তা আদায় করতে বলেছেন।((বুখারী, মুসলিম, মিশকাত ৬০৩ নং)
■ ২. ফজরের কাযা নামায ইচ্ছাকৃত ভাবে বিলম্ব করে যোহরের সাথে আদায় করা জায়েয নয়। অন্যথায় গুনাহগার হতে হবে। সুতরাং ওজর বশত: কোন নামায ছুটে গেলে যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি তা আদায় করে দায়িত্বমুক্ত হওয়া জরুরি।
■ ৩. একাধিক ওয়াক্তের নামায ছুটে গেলে সেগুলো পরবর্তীতে কাযা করার সময় ধারাবাহিকতা রক্ষা করা ওয়াজিব অর্থাৎ আগেরটা আগে এবং পরেরটা পরে আদায় করতে হবে। (এটি জুমহুর বা অধিকাংশ আলেমের অভিমত)
আরও পড়ুন:
👇👇👇
কাযা নামাযের কতিপয় বিধি-বিধান:
▰▰▰▰▰▰▰▰▰▰▰▰▰▰
● ক. ঘুম বা ভুলে যাওয়ার কারণে কারও নামায ছুটে গেলে তার করণীয় হল, ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়া বা স্মরণ হওয়ার সাথে সাথে তা কাযা করে নেয়া। তাহলে এতে কোন গুনাহ হবে না। কিন্তু স্মরণ আসা বা ঘুম ভাঙ্গার পরও কাযা করতে বিলম্ব করলে গুনাহ হবে। যেমন নিম্নোক্ত হাদিসটি:
আনাস রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
مَنْ نَسِىَ صَلاَةً فَلْيُصَلِّهَا إِذَا ذَكَرَهَا لاَ كَفَّارَةَ لَهَا إِلاَّ ذَلِكَ
“যে ব্যক্তি কোন নামায পড়তে ভুলে যায়, সে যেন তা স্মরণ হওয়া মাত্র পড়ে নেয়। (এই কাযা আদায় করা ছাড়া) এর জন্য আর অন্য কোন কাফফারা (প্রায়শ্চিত্ত) নেই।” (বুখারী ৫৯৭, মুসলিম ১৫৯৮, মিশকাত ৬০৩ নং হাদীস)
● খ. অনুরূপভাবে কোন ব্যক্তি যদি বিনা ওজরেও ইচ্ছাকৃত ভাবে নামায ছেড়ে দেয় তাহলে সে আল্লাহর নিকট তওবা করবে এবং উক্ত নামায কাযা করবে অন্যথায় তার উপর অর্পিত দায়িত্ব থেকে মুক্ত হবে না। (যদিও এ বিষয়ে দ্বিমত রয়েছে তবুও কাযা করে নেয়াই অধিক নিরাপদ)
● গ. একাধিক নামায ছুটলে আগেরটা আগে; পরেরটা পরে- এই পদ্ধতিতে ধারাবাহিকভাবে নামায আদায় করবে।
● ঘ. ফরযের পাশাপাশি সুন্নতে রাতেবা বা ফরয নামাযগুলোর আগে বা পরের নিয়মিত সুন্নত নামাযগুলো পড়ার চেষ্টা করবে।
● ঙ . কাযা নামায নিষিদ্ধ সময়েও পড়া যাবে।
কাযা নামাযের বিধিবিধান:
কেউ যথাসময়ে নামায পড়তে ঘুমিয়ে অথবা ভুলে গেলে এবং তার নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হয়ে গেলে, পরে যখনই তার চেতন হবে অথবা মনে পড়বে তখনই ঐ (ফরয) নামায কাযা পড়া জরুরী।
প্রিয় নবী (সাঃ) বলেন, “যে ব্যক্তি কোন নামায পড়তে ভুলে যায় অথবা ঘুমিয়ে পড়ে, তাহলে তার কাফফারা হল স্মরণ হওয়া মাত্র তা পড়ে নেওয়া।” অন্য এক বর্ণনায় বলেন, “এ ছাড়া তার আর কোন কাফফারা (প্রায়শ্চিত্ত) নেই।” (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত ৬০৩ নং)
তিন আরো বলেন, “নিদ্রা অবস্থায় কোন শৈথিল্য নেই। শৈথিল্য তো জাগ্রত অবস্থায় হয়। সুতরাং যখন তোমাদের মধ্যে কেউ কোন নামায পড়তে ভুলে যায় অথবা ঘুমিয়ে পড়ে, তখন তার উচিৎ, স্মরণ হওয়া মাত্র তা পড়ে নেওয়া। কেন না, আল্লাহ তাআলা বলেন, “আর আমাকে স্মরণ করার উদ্দেশ্যে তুমি নামায কায়েম কর।” (কুরআন মাজীদ ২০/১৪, মুসলিম, মিশকাত ৬০৪নং)
অতএব কাযা নামায পড়ার জন্য কোন সময়-অসময় নেই। দিবা-রাত্রের যে কোন সময়ে চেতন হলে বা মনে পড়লেই উঠে সর্বাগ্রে নামায পড়ে নেওয়া জরুরী। অন্যথা পরবর্তী সময়ের অপেক্ষা বৈধ নয়।
বিনা ওজরে ইচ্ছাকৃত নামায ছেড়ে দিলে বা সুযোগ ও সময় থাকা সত্ত্বেও না পড়ে অন্য ওয়াক্ত এসে গেলে পাপ তো হবেই; পরন্তু সে নামাযের আর কাযা নেই। পড়লেও তা গ্রহণযোগ্য নয়। বিনা ওজরে যথাসময়ে নামায না পড়ে অন্য সময়ে কাযা পড়ায় কোন লাভ নেই। বরং যে ব্যক্তি এমন করে ফেলেছে তার উচিৎ, বিশুদ্ধচিত্তে তওবা করা এবং তারপর যথাসময়ে নামায পড়ায় যত্নবান হওয়ার সাথে সাথে নফল নামায বেশী বেশী করে পড়া। (মুহাল্লা, ফিকহুস সুন্নাহ্‌ ১/২৪১-২৪৩, ফিকহুস সুন্নাহ্‌ উর্দু ৭৮পৃ:, ১নং টীকা, মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ্‌ ৫/৩০৬, ১৫/৭৭, ১৬/১০৫, ২০/১৭৪, মিশকাত ৬০৩নংহাদীসের আলবানীর টীকা দ্র:)
কেউ অজ্ঞান থাকলে জ্ঞান ফিরার পূর্বের নামায কাযা পড়তে হবে না। কারণ, সে জ্ঞানহীন পাগলের পর্যায়ভুক্ত। আর পাগলের পাপ-পুণ্য কিছু নেই। (আবূদাঊদ, সুনান, তিরমিযী, সুনান, মিশকাত ৩২৮৭ নং, মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ্‌ ২৬/১২৮, ফিকহুস সুন্নাহ্‌ ১/২৪১, আলমুমতে’, শারহে ফিক্‌হ, ইবনে উষাইমীন ২/১২৬) ইবনে উমার (রাঃ) অজ্ঞান অবস্থায় কোন নামায ত্যাগ করলে তা আর কাযা পড়তেন না। (আব্দুর রাযযাক, মুসান্নাফ, ফিকহুস সুন্নাহ্‌ ১/২৪১)
অবশ্য নামায পড়তে পারত এমন সময়ের পর অজ্ঞান হলে জ্ঞান ফিরার পর সেই সময়ের নামায কাযা পড়া জরুরী। (আলমুমতে’, শারহে ফিক্‌হ, ইবনে উষাইমীন ২/১২৬-১২৭)
পক্ষান্তরে কোন ব্যক্তি যদি কোন কারণে কোন বস্তু ব্যবহার করে স্বেচ্ছায় বেহুশ হয়, তাহলে তার জন্য কাযা পড়া জরুরী। (ঐ ২/১৮)
কাযা নামায পড়ার জন্য আযান ও ইকামত বিধেয়। কয়েক ওয়াক্তের নামায কাযা পড়তে হলে, প্রথমবার আযান ও তারপর প্রত্যেক নামাযের জন্য পূর্বে ইকামত বলা কর্তব্য।
এক সফরে আল্লাহর রসূল (সাঃ) সহ্‌ সাহাবাগণ ঘুমিয়ে পড়লে ফজরের নামায ছুটে যায়। তাঁদের চেতন হয় সূর্য ওঠার পর। অতঃপর একটু সরে গিয়ে তাঁরা ওযূ করেন। বিলাল (রাঃ) আযান দেন। (মুসলিম, সহীহ ৬৮১, আহমাদ, মুসনাদ, আবূদাঊদ, সুনান) অতঃপর সুন্নত কাযা পড়ে ইকামত দিয়ে ফজরের ফরয কাযা পড়েন। (বুখারী ৩৪৪, মুসলিম, সহীহ ৬৮০ নং, নাইলুল আউতার, শাওকানী ২/২৭)
খন্দকের যুদ্ধের সময় মহানবী (সাঃ) ও সাহাবাগণের চার ওয়াক্তের নামায ছুটে গেলে গভীর রাত্রিতে তিনি বিলাল (রাঃ) কে আযান দিতে আদেশ করেন। (শাফেয়ী, ইবনে খুযাইমাহ্‌, সহীহ, ইবনে হিব্বান, সহীহ) অতঃপর প্রত্যেক নামাযের পূর্বে ইকামত দিতে বলেন। এইভাবে প্রথমে যোহ্‌র, অতঃপর আসর, মাগরেব ও এশার নামায পরপর কাযা পড়েন। (নাসাঈ, সুনান, আহমাদ, মুসনাদ, বায়হাকী প্রমুখ, ইরওয়াউল গালীল, আলবানী ১/২৫৭)
উল্লেখ্য যে, ফজরের আযান দিনে দিতে হলেও ‘আসসালাতু খাইরুম মিনান নাউম” বলতে হবে। কারণ ফজরের ঐ কাযা নামাযে মহানবী (সাঃ) ফজরের সময় যা করেন, দিনেও তাই করে নামায আদায় করেছেন বলে প্রমাণ আছে। (মুসলিম, সহীহ ৬৮১নং, আলমুমতে’, শারহে ফিক্‌হ, ইবনে উষাইমীন ১/২০৪)
যে নামায যে অবস্থায় কাযা হয়, সেই নামাযকে সেই অবস্থা ও আকারে পড়া জরুরী। সুতরাং রাতের নামায দিনে কাযা পড়ার সুযোগ হলে রাতের মতই করে জোরে ক্বিরাআত করতে হবে। কারণ, মহানবী (সাঃ) যখন ফজরের নামায দিনে কাযা পড়েছিলেন, তখন ঠিক সেই রুপই পড়েছিলেন, যেরুপ প্রত্যেক দিন ফজরের সময় পড়তেন। (মুসলিম, সহীহ ৬৮১নং) তদনুরুপ ছুটে যাওয়া নামায রাতে কাযা পড়ার সুযোগ হলে দিনের মতই চুপে চুপে ক্বিরাআত পড়তে হবে। (নাইলুল আউতার, শাওকানী ২/২৭, আলমুমতে’, শারহে ফিক্‌হ, ইবনে উষাইমীন ৪/২০৪, ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ্‌, সঊদী উলামা-কমিটি ১/৩১০)
তদনুরুপ কেউ মুসাফির অবস্থায় নামায কাযা করে বাড়ি ফিরলে, বাড়ি ফিরার পর নামায কসর করে না পড়ে পুরোপুরি পড়বে; কিন্তু ঐ কাযা নামায কসর করেই আদায় করবে। কারণ, সফর অবস্থায় তার কসর নামাযই কাযা হয়েছে। আর বাড়িতে থাকা অবস্থায় কোন ছুটে যাওয়া নামায সফরে মনে পড়লে বা কাযা পড়ার সুযোগ হলে তা পুরোপুরিই আদায় করতে হবে। মোট কথা যেমন নামায কাযা হবে, ঠিক তেমনিভাবে তা আদায় করতে হবে। (আলমুমতে’, শারহে ফিক্‌হ, ইবনে উষাইমীন ৪/৫১৮)
অনেক দিন নামাজ আদায় না করে থাকলে করণীয়
ওমরী কাযার” পদ্ধতি হলো নামাযকে কঠিন বোঝা বানিয়ে দেওয়া। আমাদের দেশের নামধারী মুফতিদের ভ্রান্ত ফতোয়া হচ্ছে এই উমরী কাযার সিস্টেম। উমরী কাযা হচ্ছে, সাবালক হওয়ার পর বছরের পর বছর ধরে তার যে নামাযগুলো মিস হয়েছে,সেগুলো পড়তে বলা। আর তারা একটা নিয়ম বানিয়েছে প্রত্যেক ওয়াক্তের সাথে এক ওয়াক্ত অতিরিক্ত নামায পড়ার জন্য,অর্থাৎ যোহরে চার ওয়াক্ত ফরয পড়ে সে আরো চার রাকাত ফরয পড়বে কাযা হিসেবে – ৪রাকাত ফরযের জায়গায় ৮রাকাত ফরয বানিয়ে দিয়েছে – এভাবে সে যতবছর নামায কাযা করেছে তত বছর কন্টিনিউ করবে। এই রকম“ওমরী কাজার” নামায কুরআন হাদীসের কোথাও বলা নাই। হাদীস অনুযায়ী কেউ এক ওয়াক্ত, দুই ওয়াক্ত এভাবে সর্বোচ্চ ৫ ওয়াক্ত নামায ইচ্ছা বা অনিচ্ছায় ছেড়ে দিলে কাযা করতে বলা হয়েছে। কিন্তু যে একেবারেই বেনামাযী ছিলো দিনের পর দিন। সে তওবা করে নিবে তার কুফুরী থেকে। “ওমরী কাজা” এই নামাযতো দূরের কথা এই শব্দই নাই কুরান বা হাদীসে। যে ব্যক্তি ইচ্ছা করে নামায ছেড়ে দেয় তার ইমান থাকেনা (আবু দাউদ, তিরমিযি, নাসায়ী, ইবনু মাজাহ)। যার ইমান থাকেনা তার আবার নামায কি? অতএব, যে অতীতে এইরকম নামায ছেড়েছে – সে লজ্জিত হয়ে আন্তরিকভাবে আল্লাহর কাছে তওবা করবে,ভবিষ্যতে আর করবেনা এমন প্রতিজ্ঞা করবে,এটাই হচ্ছে তার নামায ছাড়ার জন্য করণীয় কাজ। আর নিয়মিত চেষ্টা ‘ফরয’ নামাযের পাশাপাশি চেষ্টা করবেন নিয়মিত নফল সুন্নত নামায আদায় করার জন্য। কারন কিয়ামতের দিন যার ফরয নামাযে ত্রুটি হবে নফল নামাযগুলো দিয়ে তা পূর্ণ করা হবে। নবী (সাঃ) বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন লোকদের আমলসমূহের মধ্যে সর্বপ্রথম তাদের নামায সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। তিনি বলেন, আমাদের মহান রব ফেরেশ্তাদের বান্দার নামায সম্পর্কে স্বয়ং জ্ঞাত থাকা সত্ত্বেও জিজ্ঞাসা করবেন। করবেন, দেখতো সে ফরয নামাযগুলো পূর্ণ রূপে আদায় করেছে না তাতে কোন ক্রটি আছে? অতঃপর বান্দার নামায পরিপূর্ণ হলে তা তদ্রুপই লেখা হবে। আর যদি তাতে কোন ক্রটি-বিচ্যুতি পরিলক্ষিত হয়,তবে তিনি (রব) ফেরেশ্তাদের বলবেনঃ দেখতো আমার বান্দার কোন নফল নামায আছে কি? যদি থাকে তবে তিনি বলবেনঃ তোমরা তার নফল নামায দ্বারা তার ফরয নামাযের ক্রটি দূর কর। অতঃপর এইরূপে সমস্ত ফরয আমলের ক্রটি নফল দ্বারা দূরীভূত করা হবে। সুনানে আবু দাউদঃ ৮৬৪, তিরমিযীঃ ৪১৩, ইবনে মাজাহঃ ১৪২৫। হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন ইমাম তিরমিযী, ইমাম হাকেম ও শায়খ আলবানী।